নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রথম বাংলা
রাজধানীর পল্লবীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদস্য পরিচয়ে ১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে অবৈধভাবে ফ্ল্যাট দখল করে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জাহাঙ্গীর কবির।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে দুটি ওয়াকিটকি, বিমান বাহিনীর লোগো সম্বলিত একটি ক্যাপ, সেনাবাহিনীর চারটি ভুয়া আইডি কার্ড ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে কয়েকজন সহযোগীসহ নুরুন্নাহার লাকীর পক্ষ হয়ে পল্লবী থানার সেকশন-১১, ব্লক-এ, রোড-৭ এর ৪৪ নম্বর বাড়ির ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাট দখল করতে গেলে স্থানীয় জনগণের বাধার সম্মুখীন হয়। এরপর ১০টা ৫০ এর দিকে তাদের ৩ জন পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জের রুমে গিয়ে নিজেদের সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ফ্ল্যাটটি দখলে পুলিশি সহায়তা চায়। তাদের কথা-বার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদের দেহ তল্লাশি করা হয়। দেহ তল্লাশিকালে তাদের কাছ থেকে দুটি ওয়াকিটকি, বিমান বাহিনীর লোগো সম্বলিত একটি ক্যাপ, সেনাবাহিনীর চারটি ভুয়া আইডি কার্ড পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে তাদের পরিচয় যাচাই করে ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় গ্রেফতার করা হয়।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত দেড়টার দিকে পল্লবীর সাগুফতা রোড ও কিংস্টন গলিতে অভিযান চালিয়ে অপর সহযোগী শেখ মহি উদ্দিন, মো. আরিফুজ্জামান, মো. জিহাদ, মো. সোহান আকন্দ, মো. আসিফ হোসেন তারেক, মো. মিন্টু মুন্সি, মো. রিফাতুল ইসলামসহ অপর দুই অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আরও ৭ থেকে ৮ জন পালিয়ে যায়।
পল্লবী থানার বরাত দিয়ে পুলিশ কমিশনার আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার প্রতারক। তারা তাদের পলাতক সহযোগীদের সহায়তায় নিজেদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে ফ্ল্যাটটি দখল করে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত পলাতক অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।