নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রথম বাংলা
বিপৎসীমার কাছাকাছি থাকলেও কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট শনিবার (২৪ আগস্ট) রাত ১০টায় খোলা হয়নি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টায় ৬ ইঞ্চি করে জলকপাট খোলে দেওয়া হবে। তবে এতে আতঙ্কের কিছু নেই।
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের। তিনি বলেন, পানি বিপদসীমার কাছাকাছি চলে যাওয়ায় আজ রাতে জলকপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। আমরা একটি নোটিশও জারি করেছিলাম। তবে রাত হওয়ায় আমরা আজকে এটি খুলছি না। আগামীকাল সকাল আটটায় জলকপাট খোলা হবে।
কী পরিমাণ খোলা হবে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমরা প্রথম পর্যায়ে ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেব। যদি প্রয়োজন হয় সেটি আরও একটু বাড়বে।
এতে আসেপাশে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না জানিয়ে এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, ১ ফুটের মতো পানি বাড়তে পারে। তবে এতে তেমন বিরক্ত প্রভাব পড়বে না। এখানে আতঙ্কের কিছু নেই।
এর আগে দুপুরে পানির মাত্রা বিপৎসীমার (১০৮ ফুট) কাছাকাছি উঠে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে নোটিশ জারি করা হয় যে, শনিবার ২টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকের পানির পরিমাপ ১০৭ দশমিক ৬৩ ফুট পর্যন্ত উঠেছে। সন্ধ্যা নাগাদ যদি পারি ১০৮ ফুটের কাছাকাছি বা বেড়ে যায় তাহলে কাপ্তাই স্পিল ওয়ের ১৬টি গেটের ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হবে। সবাইকে সাবধানে থাকার অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা।
এর আগে শুক্রবার লেকের পানি পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে রাঙামাটির পর্যটনশিল্পের আইকনখ্যাত ঝুলন্ত সেতু। সেতুর পাটাতনের ওপর পানি উঠেছে ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি। পানির চাপে অনেক স্থানে খুলে গেছে পাটাতনের কাঠ। সে কারণে সেতুর ওপর দিয়ে পর্যটক চলাচল নিষিদ্ধ করেছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে লেকে রুলকার্ভ অনুযায়ী প্রয়োজনের চেয়ে পানি বেশি আছে। এ কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটে সর্বোচ্চ ২১৯ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। যদিওবা পাঁচ ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ থেকে ২৪০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
নিয়মানুযায়ী কাপ্তাই লেকে ১০৮ ফুট এমএসএল পর্যন্ত পানি উঠলে বিপৎসীমার অবস্থা সৃষ্টি হয়। এই পরিমাপে পৌঁছালে কাপ্তাই লেকের ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।