শেরপুর প্রতিবেদক, প্রথম বাংলা
শেরপুরে কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি ও নালিতাবাড়ীর ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে হঠাৎ বন্যার দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভোরে মহারশি নদীর তীর উপচে পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। এতে জেলার শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতশত পরিবার।
বন্যায় ঝিনাইগাতি বাজার ও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে।
আকস্মিক ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতভর বৃষ্টিতে প্লাবিত হয় নিম্নাঞ্চলের প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রাম। এখনো বৃষ্টি চলমান থাকায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর দুই পাড়ের কয়েকটি স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে শ্রীবরদীর সীমান্তবর্তী ভারত থেকে নেমে আসা সোমেশ্বরী নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এরআগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শেরপুরে বৃষ্টি শুরু হয়। সারা রাত ভারী বর্ষণ চলতে থাকে সাথে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ের উজানের ঢলে ভোর ৫টার দিকে মহারশি নদীর পানি ঢুকতে থাকে ঝিনাইগাতি বাজারে।
এছাড়া নালিতাবাড়ি উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চেন্নাখালি ও ভোগাই নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে।