সোমাবার , ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | [bangla_date]
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের পত্রিকা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম ও জীবন
  6. একদিন প্রতিদিন
  7. কোভিড-১৯
  8. খেলা
  9. চাকরি
  10. চিত্র বিচিত্র
  11. জনপ্রিয় সংবাদ
  12. জাতীয়
  13. ডাক্তার আছেন
  14. দরকারি
  15. দৃষ্টিপাত

(পর্ব-২)দূর্নীতির আখড়া, মটরযান পরিদর্শক সুমনের খুঁটির জোর কোথায়!

প্রতিবেদক
Prothom Bangla
ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২৫ ৪:১৫ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রথম বাংলা

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সৈরাচার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন ঘটলেও একই আদর্শ বুকে ধারণ করা বিগত আমলের দূর্নীতিবাজদের পতন ঘটেনি এখনও। সুযোগ সন্ধানী এই দূর্নীতিবাজ চক্রটি দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে রাজনৈতিক রূপ বদলে আবারও অবৈধ দূর্নীতির রাজত্ব শুরু করেছে। এমনই এক শীর্ষ দূর্নীতিবাজ বিআরটিএ গাজীপুর সার্কেল এর মটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত মো. সাইদুল ইসলাম সুমন।

জানাগেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা আমলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে, লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাজীপুর সার্কেলের অফিসের সকল দূর্নীতির নিয়ন্ত্রণ করতেন এই মটরযান পরিদর্শক মো.সাইদুল ইসলাম সুমন। তবে সরকার পতনের সাথে সাথে নিজেকে বিএনপিপন্থী হিসেবে উপস্থাপন করে আবারও সেই একই পথেই হাঁটছেন তিনি।

তাই মো.সাইদুল ইসলাম সুমনের খুঁটির জোর কোথায় এমনই প্রশ্ন সহকর্মীদের। আর এই প্রশ্নে জবাব সহকর্মী নিজেরায়। নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক সহকর্মী প্রথম বাংলাকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আ.লীগের নেতাদের সাথে বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল সুমনের। যার ফলে সে যত দূর্নীতিই করতো কেউ তাকে কিছু বলতে পারতো না। আর সরকার পতনের পর বিএনপির স্থানীয় কিছু নেতাদের সাথে সক্ষতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তাদের সাথে চলাচল করছে। আর তাদেরই নাম ভাঙ্গিয়ে ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আবারও দূর্নীতির আখড়া বানিয়ে নিয়েছে গাজীপুর সার্কেলের বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অফিস।

(বি:দ্র:- এসব বিষয়ে আরও বিস্তারিত আসছে প্রথম বাংলার অনুসন্ধানী বিশেষ পর্ব-৩-এ)।

এদিকে এই দূর্নীতিবাজরে বিরুদ্ধে এর আগেও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম বাংলা। সেখানে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার যখন দেশের সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে দূর্ঘটনা রোধে কঠোর অবস্থানে ঠিক সেই মুহুর্তে আখের গুছিয়ে নিজের পকেট ভরতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কিছু অসাধু কর্মকর্তা।

পরিবহণ সংক্রান্ত যেকোন সমস্যায় অসম্ভব বলে কিছুই নেই তাদের কাছে। টাকা দিলেই পরিত্যাক্ত ভাঙ্গা, ফিটনেস বিহীন গাড়িরও মিলছে ফিটনেস সনদ। আর এই অসম্ভব কাজটি হাতের তুরি মেরে যিনি সম্ভব করে দিচ্ছেন তিনি হলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাজীপুর সার্কেলের মটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত মো.সাইদুল ইসলাম সুমন।

প্রথম বাংলার হাতে আসা তথ্য বলছে, বিআরটিএ গাজীপুর সার্কেল এর মটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন মো. সাইদুল ইসলাম সুমন। বিআরটিএতে এককভাবে দালাল সিন্ডিকেট গড়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্যনের অভিযোগ উঠে এসেছে সাইদুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, পরিত্যাক্ত ভাঙ্গা, ফিটনেস বিহীন গাড়ী অর্থের বিনিময়ে ফিটনেস দিয়ে রাস্তায় চলাচলের সুযোগ করে দিয়ে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এসব ফিটনেস বিহীন রাস্তায় চলাচলের সুযোগ পাওয়ায় প্রতিনিয়তই অসংখ্য দূর্ঘটনা ঘটছে এবং প্রতিদিনই হচ্ছে প্রাণহানী। গাড়ী প্রতি ৩ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নিচ্ছে এই অসাধু কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম সুমন।

সাইদুল ইসলাম সুমনের হাতে পরিত্যাক্ত গাড়ি থেকে ফিটনেস গাড়িতে রূপান্তরিত হওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেট্রো-খ-১১-৭০২২, ঢাকা মেট্রো-খ-১২-৪৯৬৪, ঢাকা মেট্রো-অ-১৩-০৩৪৮, ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৫০১৬, ঢাকা মেট্রো-চ-১৯-১৪৩৯, ঢাকা মেট্রো-চ-১১-৬১৫৪, ঢাকা মেট্রো-খ-১১-৩৭৮৩, ঢাকা মেট্রো-অ-১১-৫১৭৭, ঢাকা মেট্রো-ইউ-১১-২৫০৯, ঢাকা মেট্রো-ম-১১-৩৮১৭, ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৪৯৫৫, ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৫৮০৮, ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৪৭২৭, ঢাকা মেট্রো-খ-১২-৪৬১৭, ঢাকা মেট্রো-জ-১১-০৩২৭, ঢাকা মেট্রো-ন-১১-৩০৪৩, ঢাকা মেট্রো-ন-২০-৭৩৪১ সহ আরও অসংখ্য গাড়ির নাম্বারসহ একধিক তথ্য ও প্রমাণ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

আরও সুত্রের দেয়া তথ্য মতে, এতোসব গাড়ির ফিটনেস চলতি বছরের ১৬ই জানুয়ারি ঘুষ এর মাধ্যমে ফিটনেস প্রদান করেছেন এই অসাধু কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম সুমন।

সাইদুল ইসলাম সুমনের গঠন করা দালাল সিন্ডিকেটে রয়েছেন, দালাল নয়ন, আসাদ, মানিক, সাদ্দাম, কবির, বুলবুল, শাহজাহান, শামীম, আজিজ, বাবু, সাত্তার সহ আরও অনেকে। অনুসন্ধানে জানা গেছে এসব দালালরাই ফিটনেস প্রদান. গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনসহ বিআরটিএর যাবতীয় কাজ সাইদুল ইসলাম সুমনের মাধ্যমে ঘুষের মাধ্যমে করিয়ে থাকেন।

এ বিষয়ে সড়ক জনপদ ও সেতু সন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, বিআরটিএ গাজীপুর সার্কেল এর কর্মরত সাইদুল ইসলাম সুমন এখন কোটি টাকার মালিক। অবৈধভাবে গড়েছেন সম্পদের পাহার।

এসব বিষয়ে জানে সাইদুল ইসলাম সুমনকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি প্রথম বাংলাকে বলেন, এ বিষয়ে আমি মোবাইলে কিছু বলতে পারবো না। আপনি অফিসে আসেন দেখা করেন। আমি এখন মিটিংয়ে যাচ্ছি।

( শিগ্রই আসছে দূর্নীতির বিশেষ পর্ব-৩ দেখতে চোখ রাখুন প্রথম বাংলা নিউজে )

সর্বশেষ - রাজনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত