নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রথমবাংলা
রাষ্ট্র সংস্কার করতে নিজেদের রাজনৈতিক দল আনার চিন্তাভাবনা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। যাদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন সেই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা রাষ্ট্রের সংস্কারের জন্য দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের বাইরে গিয়ে নতুন দল গঠনের চিন্তাভাবনা করছেন।
আন্দোলনে জড়িত ৪ ছাত্রনেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এসময় গত ১৫ বছর যা হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন এসব ছাত্রনেতা। একইসাথে এক মাসের মধ্যেই তারা নতুন দল গঠনের চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানান।
এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নেতাদের আশা, শেখ হাসিনা যেভাবে গত ১৫ বছর দেশ শাসন করেছেন তার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই নতুন দলের প্রয়োজন।
ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর প্রধান উপদেষ্টে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিন দফায় ২১ জন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। এই সরকারে ছাত্রদের পক্ষ থেকে দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
দেশে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বৈত প্রথার অবসান ঘটাতে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে আলোচনা করছেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রদের পক্ষ থেকে সরকার, শিক্ষক, অধিকারকর্মী ও সামাজিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যোগাযোগের লক্ষ্যে গঠিত লিয়াজোঁ কমিটির সভাপতি মাহফুজ আলম।
২৬ বছর বয়সী এই তরুণ রয়টার্সকে বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তিনি জানিয়েছেন, দল গঠনের আগে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ভোটারদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করতে চান।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘দুই রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষ সত্যিই ক্লান্ত। আমাদের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা আছে।’
তাহমিদ চৌধুরী, আরেক ছাত্র সমন্বয়কারী বলেছেন, আমাদের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার ‘উচ্চ সম্ভাবনা’ আছে। আমরা এখনো নিজেদের কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছি। আর যদি দল গঠন করা হয়, তবে ধর্মনিরপেক্ষতা-বাক স্বাধীনতাকে দলের মূলনীতি করা হবে। তিনি বলেন, ‘দুই দলের প্রাধান্য ভাঙতে এ ছাড়া আমাদের সামনে দ্বিতীয় আর কোনো পরিকল্পনা নেই।’