নিজস্ব প্রতিবেদ, প্রথম বাংলা
জনস্বার্থ সাংবাদিকতায় অবদানের জন্যে চলতি বছরের মার্চে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভোক্তা বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন সাংবাদিক রেযা খান। এবারও একই ক্যাটাগরিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিনি।
গতকাল শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে গুলশানের একটি হোটেলে বর্ণাঢ়্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি’র ভিসি অধ্যাপক ড. হান্নান চৌধুরী।
জানা গেছে, বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন টেলিভিশন সাংবাদিক রেযা খান। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধিতে গণমানুষের কষ্ট- ক্ষোভ-হতাশা ক্ষমতাসীনদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বারবার তিনি তুলে ধরেছেন প্রতিবেদনে। এ জন্যে একাধিকবার তাকে লাঞ্ছিত করেছে মজুতদার ও সহযোগীরা। সব বাঁধা উপেক্ষা করে ভালো কাজের জাতীয় স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছরের মার্চ মাসে তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনে রেযা খানের জনস্বার্থ বিষয়ক প্রতিবেদন জনমত গঠনে ভুমিকা পালন করে। তাই ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সাহসী ভুমিকার জন্যে এবার বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন রেযা খান।
দুই দশকের সাংবাদিকতা জীবনে রেযা খান কাজ করেছেন কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে। এর পাশাশাশি অমর একুশে বই মেলার গল্প-কবিতা মিলিয়ে এ পর্যন্ত তার ১০ টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি একজন সংগীত শিল্পী ও আবৃত্তিকার। অডিও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সংগীতা থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার সলো মিউজিক ও কবিতার অডিও-ভিডিও অ্যালবাম। শিক্ষাজীবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও এমফিল সম্পন্ন করেছেন তিনি। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন জাতীয় প্রতিযোগিতায় নানা বিষয়ে পুরস্কার ও সনদপত্র অর্জন করেছেন তিনি।