ফরিদপুর প্রতিবেদক, প্রথম বাংলা
শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বিএনপির নেতা ছিলেন। বিগত নির্বাচনের আগে তিনি তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন। পরে বিএনপি তাকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করে।
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সেই শাহ আবু জাফরের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু। গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) হওয়া ওই বৈঠকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠক ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনার সূত্রপাত। তারা বলছেন, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের কারণে দলের প্রাথমিক পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে যাকে বহিষ্কার করা হয়েছে তার সঙ্গে বিএনপি নেতা ঝুনু কিসের বৈঠক করেছেন?
বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে বিএনপির দলীয় কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় ছিল। এমনকি স্থানীয় বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে জেল জুলুম ভোগ করলেও তাদের পাশেও ছিলেন না ঝুনু। আর এখন তিনি বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্টকারী শাহ আবু জাফরকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রশ্নবিদ্ধ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে বিএনএম প্রার্থী শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর নোঙ্গর মার্কা নিয়ে ভোটে লড়েন। ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতা ঝুনু শাহ আবু জাফরের হয়ে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সেসময় এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তার প্রতি ক্ষোভও দেখান। অবশ্য ৭ জানুয়ারির ওই নির্বাচনে শাহ আবু জাফর জামানত রক্ষা করার মতো ভোটও পাননি।
শাহ আবু জাফরের সঙ্গে বোয়ালমারীর বিএনপি নেতা ঝুনুর বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইশা বলেন, ‘বৈঠকের ঘটনার সত্য হলে শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু অন্যায় কাজ করেছেন। শাহ আবু জাফর বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত। এরপরও তার সঙ্গে গোপন বৈঠক করে থাকলে ঝুনুর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে শাহ জাফরের বৈঠককারী নেতা ঝুনুর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ফরিদপুর বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক।
তিনি বলেন, ‘শাহ জাফরের মতো লোকেরা দলের যে ক্ষতি করেছে এরপরও তার সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতা বৈঠক করলে, আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলে কোনো ছাড় পাবে না। সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।