নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রথম বাংলা
বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের শিক্ষার্থীর মধ্যে বিবাদের জেরে ‘ছুরিকাঘাতে’ জাহিদুল ইসলাম পারভেজ নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ একজন ছাত্রদল কর্মী ছিলেন বলেও জানানো হয় দলটির পক্ষ থেকে। তাই দলনেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেনায় জাহিদুলের পরিবারের সাথে দেখা করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ-এর সাবেক সহসভাপতি, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় সংসদ-এর মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো.মোক্তাদির হোসেন তরু।

এসময় তিনি নিহতের মা পারভীন আক্তার ও বাবা জসিম উদ্দিনের সাথে দেখা করেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেনায় ছেলে হারানো শোক সন্তপ্ত পরিবারে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
গতকাল (২১ এপ্রিল) ময়মনসিংহের ভালুকায় নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ-এর নিজ বাড়িতে উপস্থিত হয়ে এই আশ্বাস দেন তিনি।

এসময় ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা ছাত্রদল ও বিএনপির নেতৃবৃন্দু সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টার পর বনানীতে বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে বিবাদের জেরে ‘ছুরিকাঘাতে’ জাহিদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়।এ ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মামলাও করেছেন নিহত জাহিদুলের ভাই হুমায়ুন কবির।
গত রোববার(২০এপ্রিল) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার অপারেশন কর্মকর্তা একেএম মইনুদ্দিন।

জানাগেছে, মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজী বিভাগের তিন ছাত্র মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারী ছাড়াও আরও পাঁচজনকে আসামী করা হয়েছে। মোট আসামী আটজন। তারা সকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মামলার পর তিন জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার দুই নেতার বিরুদ্ধে। পরে আজ (২২এপ্রিল) হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম হৃদয় মিয়াজি (২৩)। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ ওই প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র। ২৩ বছর বয়সী এ শিক্ষার্থীর বাড়ি ময়মনসিংহে।

যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত:
বনানী থানার অপারেশন কর্মকর্তা এসআই মাইনুদ্দিন বলেছিলেন, জাহিদুল প্রাইম এশিয়ার গলিতে চা সিঙ্গারা খাওয়ার জন্য গিয়েছিল। ওই সময় সেখানে তিন মেয়েও ছিল। সেই মেয়েদের ইভটিজিং করা হয়েছে বলে দাবি করে তারা তাদের বন্ধুদের ফোন করে। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন উভয়পক্ষকে নিয়ে মিমাংসাও করে দেয়। কিন্তু এই ঘটনার প্রধান তিনজন মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারী বিষয়টি দিকে মোড় ঘোরায়। তারা হাজারীপাড়া এলাকার ছেলেদের নিয়ে আসে এবং জাহিদুলের ওপর হামলা চালায়। এসময় জাহিদুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে দৌড়ে আসার সময় আঘাত প্রাপ্ত হন। তারা তাকে ধারালো অস্ত্র আঘাত করে তারা পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় যারা জড়িত তারা সকলে প্রাইম এশিয়ার ছাত্র।