নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রথম বাংলা
সরকার যখন দেশের সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে দূর্ঘটনা রোধে কঠোর অবস্থানে ঠিক সেই মুহুর্তে আখের গুছিয়ে নিজের পকেট ভরতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
পরিবহণ সংক্রান্ত যেকোন সমস্যায় অসম্ভব বলে কিছুই নেই তাদের কাছে। টাকা দিলেই পরিত্যাক্ত ভাঙ্গা, ফিটনেস বিহীন গাড়িরও মিলছে ফিটনেস সনদ। আর এই অসম্ভব কাজটি হাতের তুরি মেরে যিনি সম্ভব করে দিচ্ছেন তিনি হলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাজীপুর সার্কেলের মটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত মো.সাইদুল ইসলাম সুমন।
প্রথম বাংলার হাতে আসা তথ্য বলছে, বিআরটিএ গাজীপুর সার্কেল এর মটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন মো. সাইদুল ইসলাম সুমন। বিআরটিএতে এককভাবে দালাল সিন্ডিকেট গড়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্যনের অভিযোগ উঠে এসেছে সাইদুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, পরিত্যাক্ত ভাঙ্গা, ফিটনেস বিহীন গাড়ী অর্থের বিনিময়ে ফিটনেস দিয়ে রাস্তায় চলাচলের সুযোগ করে দিয়ে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এসব ফিটনেস বিহীন রাস্তায় চলাচলের সুযোগ পাওয়ায় প্রতিনিয়তই অসংখ্য দূর্ঘটনা ঘটছে এবং প্রতিদিনই হচ্ছে প্রাণহানী। গাড়ী প্রতি ৩ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নিচ্ছে এই অসাধু কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম সুমন।
সাইদুল ইসলাম সুমনের হাতে পরিত্যাক্ত গাড়ি থেকে ফিটনেস গাড়িতে রূপান্তরিত হওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেট্রো-খ-১১-৭০২২, ঢাকা মেট্রো-খ-১২-৪৯৬৪, ঢাকা মেট্রো-অ-১৩-০৩৪৮, ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৫০১৬, ঢাকা মেট্রো-চ-১৯-১৪৩৯, ঢাকা মেট্রো-চ-১১-৬১৫৪, ঢাকা মেট্রো-খ-১১-৩৭৮৩, ঢাকা মেট্রো-অ-১১-৫১৭৭, ঢাকা মেট্রো-ইউ-১১-২৫০৯, ঢাকা মেট্রো-ম-১১-৩৮১৭, ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৪৯৫৫, ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৫৮০৮, ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৪৭২৭, ঢাকা মেট্রো-খ-১২-৪৬১৭, ঢাকা মেট্রো-জ-১১-০৩২৭, ঢাকা মেট্রো-ন-১১-৩০৪৩, ঢাকা মেট্রো-ন-২০-৭৩৪১ সহ আরও অসংখ্য গাড়ির নাম্বারসহ একধিক তথ্য ও প্রমাণ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
আরও সুত্রের দেয়া তথ্য মতে, এতোসব গাড়ির ফিটনেস চলতি বছরের ১৬ই জানুয়ারি ঘুষ এর মাধ্যমে ফিটনেস প্রদান করেছেন এই অসাধু কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম সুমন।
সাইদুল ইসলাম সুমনের গঠন করা দালাল সিন্ডিকেটে রয়েছেন, দালাল নয়ন, আসাদ, মানিক, সাদ্দাম, কবির, বুলবুল, শাহজাহান, শামীম, আজিজ, বাবু, সাত্তার সহ আরও অনেকে। অনুসন্ধানে জানা গেছে এসব দালালরাই ফিটনেস প্রদান. গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনসহ বিআরটিএর যাবতীয় কাজ সাইদুল ইসলাম সুমনের মাধ্যমে ঘুষের মাধ্যমে করিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে সড়ক জনপদ ও সেতু সন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, বিআরটিএ গাজীপুর সার্কেল এর কর্মরত সাইদুল ইসলাম সুমন এখন কোটি টাকার মালিক। অবৈধভাবে গড়েছেন সম্পদের পাহার।
এসব বিষয়ে জানে সাইদুল ইসলাম সুমনকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি প্রথম বাংলাকে বলেন, এ বিষয়ে আমি মোবাইলে কিছু বলতে পারবো না। আপনি অফিসে আসেন দেখা করেন। আমি এখন মিটিংয়ে যাচ্ছি।